বোরাক রিয়েল এস্টেটের রোড শো সম্পন্ন: তুলবে ৪০০ কোটি টাকা

শেয়ারসূচক রিপোর্ট: বুক বিল্ডিং পদ্ধতির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারে আসবে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর শর্ত অনুসারে আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে রোড শো’র আয়োজন করে কোম্পানিটি। এতে যোগ্য বিনিয়োগকারী (Eligible Investor) ও সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাদের সামনে কোম্পানির আর্থিকচিত্র, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।

রোড শোতে ইউনিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নূর আলী বলেছেন, বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের অংশিদাররা কখনো ঠকবেন না। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে এই ব্যবসা শুরু করি। ওয়েস্টিন হোটেল শুরু করার সময় সবাই পাগল বলতে। আজকে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাভবান আমরা।

তিনি বলেন, বোরাক রিয়েল এস্টেট একটি মাইলফলক প্রজেক্ট এবং বাঙালীদের জন্য এটি হবে একটি দ্বিতীয় গন্তব্য। এ প্রজেক্টের বাইরে আমরা কুয়াকাটাতে ১৪০ বিঘা জায়গার উপর একটি বড় ধরনের রিসোর্ট করবো যেটা সমুদ্রকে আকৃষ্ট করবে। এবং কুয়াকাটা থেকে সুন্দরবন ট্যুর প্রোগ্রাম করবো। এ ধরনের আপকামিং আরো প্রজেক্ট আমাদের আসবে।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে ইতিমধ্যে আমরা ফাইভ স্টার হোটেল এ্যান্ড রিসোর্ট করার প্লান করছি। এ সকল প্রজেক্টের বাইরে সোনারগাঁও ইকোনোমিক জোন ঘিরে আমাদের নতুন নতুন পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ইন্ডাস্ট্রির বাইরে যেন রিসোর্ট হয়, খেলার মাঠ হয়, শিশুদের বিনোদনের যথেষ্ট ব্যবস্থাসহ নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক ব্যবস্থাই সেখানে থাকবে।

ইউনিক গ্রুপের এমডি বলেন, আমি আশা করি বোরাকের সাথে যারা সম্পৃক্ত হবে তারা কখনোই ঠকবে না। এ বিশ্বাস আমার আছে। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন, আমাদের কুয়াকাটার ইকো রিসোর্ট আস্তে আস্তে বহুদূর গিয়েছে। ৬শত মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্ট ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হওয়ার পথে। আমি আশাকরি আমাদের বোরাকের আইপিও সাকসেসফুল হবে এবং শেয়ারহোল্ডাররা যাতে সন্তুষ্ট থাকেন একইসাথে তাদের লাভের দিক বিবেচনায় রেখে আমরা সবকিছু সেভাবেই করবো।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি ২৮শে আগস্ট ২০১০ তারিখে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান ব্যবসা হলো বিলাসবহুল আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, বিক্রয় ও ভাড়া এবং হোটেল ব্যবসা। বাংলাদেশের অন্যতম বড় রিয়েল এস্টেট কোম্পানী বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড রাজধানীর গুলশানে ২৪ তলা হোটেল ভবন দি ওয়েস্টিন ঢাকা, পান্থপথে ৩টি বেজমেন্ট সহ ২০ তলা ইন্টেলিজেন্ট কমার্শিয়াল ভবন ইউনিক ট্রেড সেন্টার, ইস্কাটনে ২০ তলা কমার্শিয়াল কাম রেসিডেনসিয়াল ভবন রেড ক্রিসেন্ট বোরাক টাওয়ার, ইস্কাটনে ২০ তলা কমার্শিয়াল কাম রেসিডেনসিয়াল ভবন ইউনিক হাইটস, কাওরান বাজারে ৪টি বেজমেন্ট সহ কমার্শিয়াল ভবন বোরাক জহির টাওয়ার, বনানীতে অবস্থিত ৫টি বেজমেন্ট সহ ২০ তলা কমার্শিয়াল ভবন বোরাক মেহনূর সহ অনেক অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির চলমান নিমার্ণাধীন প্রকল্প গুলোর মধ্যে গুলশানে অবস্থিত ৬টি বেজমেন্ট সহ ২১ তলা কমার্শিয়াল ভবন বোরাক এক্রোপলিশ যেখানে হোটেল তাঁজ ও হোটেল ভিভান্তা নামে দুটি পাঁচ তারকা হোটেল এবং ৮টি বেজমেন্ট সহ ২৪ তলা কমার্শিয়াল ভবন সাউথ পার্ক যেখানে প্রস্তাবিত ৭ তারকা হোটেল নির্মাণাধীন।

এছাড়াও রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন পাতিরাতে এবং গাজীপুরের কোনাবড়ীতে এর দুইটি রেডিমিক্স কংক্রিট ইউনিট আছে। কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ চলমান প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়নে ও আংশিক ঋণ পরিশোধের নিমিত্তে একটি সাত তারকা মানের ও দুটি পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ২০০ কোটি ও ১০০ কোটি এবং ঋণ পরিশোধের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রয়োজনে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাজার হতে ৪০০ কোটি টাকা পূঁজি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রস্তাবিত এই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ইস্যু ব্যবস্থাপনা করছে বি. এম. এস. এল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড । এছাড়া কোম্পানীটির বিধিবদ্ধ নিরিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস এবং স্থায়ী সম্পদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন হাওলাদার ইউনুস এন্ড কোং, চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস।

Sharesuchak/R.H.

বোরাক রিয়েল এস্টেটের সকল সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন

আইপিও’র প্রক্রিয়ায় থাকা সকল কোম্পানির সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *